কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মো. নাসিরুজ্জামান বলেছেন, ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা হলে জনগণের সময় ও ব্যয় কমাতে সহায়ক হবে। কৃষকের উপযোগি করে সিস্টেমটি চালু করতে হবে। তাহলে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম পাবে, কৃষক আর ঠকবে না। ।
আজ (শনিবার) জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি (নাটা) গাজীপুরে এটুআই ও তথ্য প্রযুক্তি ও যোগযোগ বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ‘ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব’ শীর্ষক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার যখন রুপকল্প ২০২১ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করলো, তখন বিষয়টিকে সবাই নেতিবাচক হিসেবে ধরে নিয়ে বলেছে যে, এটি কখনো অর্জন সম্ভব না। কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশ কল্পনা নয়, বাস্তবতা। যার সুফল দেশবাসী পাচ্ছে। নতুন লক্ষ্য হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ। কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক ডিজাইনকৃত ৯টি ডিজিটাল সার্ভিস দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য দিক নিদের্শনা দেন তিনি।
পরবর্তীতে কৃষি সচিব বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের নতুন ধানের জাত ব্রি ৮৯ এর মাঠ পরিদর্শন করেন।
জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি (নাটা) এর মহপরিচালক ড. মোঃ আঃ ছালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল মুঈদ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর ও কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ। ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব সম্পর্কিত উপস্থাপন করেন এটুআইয়ের চীফ স্ট্যাটিজিস্ট ফরহাদ জাহিদ শেখ। ২৩ এপ্রিল শুরু হওয়া এ প্রশিক্ষণে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার ৪৪জন কর্মকর্তা অংশগ্রহন করেন।